শরিকদের কত সিট ছাড়তে রাজি বিএনপি?

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৫ PM

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিতে চলছে জোর প্রস্তুতি। আসনভিত্তিক প্রার্থী যাচাই-বাছাই প্রায় শেষ পর্যায়ে। একইসঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা মিত্রদের নিয়েও নির্বাচনে যেতে চায় দলটি। এজন্য সহযোগী দলগুলোর জন্য আসন ছাড় দিতেও প্রস্তুত বিএনপি।

সূত্র জানায়, বিএনপির মিত্র রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো শতাধিক আসন চাইছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দল সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা জমা দিয়েছে, আরও কয়েকটি দল শিগগিরই তালিকা দেবে।

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) প্রায় ১৫টি আসন চাইবে বলে জানিয়েছে। গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী তার দলের পক্ষ থেকে ঢাকা-৬সহ ১৫টি আসন দাবি করবেন।

গণতন্ত্র মঞ্চ অর্ধশতাধিক আসন চাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। শনিবার এ বিষয়ে তাদের অভ্যন্তরীণ বৈঠক হয়েছে এবং প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইভাবে ১২ দলীয় জোট অন্তত ২০টি এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ৯টি আসন চেয়েছে।

প্রাপ্ত তালিকার তথ্য বলছে, নড়াইল-২ থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, দলটির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা চাচ্ছেন কিশোরগঞ্জ-২ আসন, জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর বগুড়া-১, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী চট্টগ্রাম-১, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের কমরেড ডা. সৈয়দ নূরুল ইসলাম মানিকগঞ্জ-১, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ব্যারিস্টার নাসিম খান ঢাকা-১৭, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির এসএম শাহাদাত বাগেরহাট-১, ডেমোক্রেটিক লীগের মাহবুব আলম দিনাজপুর-২ এবং এনডিপির আব্দুল্লাহ আল হারুন ফেনী-৩ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন। এছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর তালিকা রয়েছে বিএনপির হাতে। তবে মিত্রদের অনেকেই কৌশলের অংশ হিসাবে বিষয়টি সামনে আনতে চাচ্ছেন না। কয়েকটি দল তালিকা প্রস্তুত করতে কিছুটা সময় নিতে চায়।

মিত্রদের কত আসন দেওয়া হবে-এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কিমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি, আলাপ-আলোচনা চলছে।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্ভাব্য একক প্রার্থীদের প্রথমে অনানুষ্ঠানিকভাবে সবুজ সংকেত জানানো হবে। মাঠপর্যায়ে তারা প্রচার-প্রচারণা চালাবেন। আসনগুলোয় অন্য যারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, তারাও সবুজ সংকেত পাওয়া প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করবেন। এ সময়ে তাদের কঠোর নজরদারিতে রাখা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে তফশিল ঘোষণার পর দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডে মাধ্যমে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হবে।