বলধায় কিছুক্ষণ প্রকৃতির দর্শন
আজ ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। তাই প্রবেশ ধার ছিল উন্মুক্ত। সামনে বসে থাকা দারোয়ান বললে… আজ প্রবেশ ফ্রি। ফোন ক্যামেরা চালু করে ভিড়িও চালিয়ে যাচ্ছি আর দেখছিলাম চারপাশ।
বলধা গার্ডেন পরিচয়
ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বাংলার এ অঞ্চলের এটি অন্যতম প্রাচীন উদ্যান। ভাওয়াল জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী ১৯০৯ সালে বাগানটি প্রতিষ্ঠা করেন।
বাগানের দুটি অংশ বৃহত্তর সিবিলি (Cybele) ও ক্ষুদ্রতর সাইকি (Psyche)। প্রথমটি গ্রীকদেবীর নাম অনুযায়ী, আকার মোটামুটি আয়তাকার, উত্তরের অংশ কিছুটা কৌণিক, দৈর্ঘ্য ১৩৬ মিটার ও প্রস্থ ৭৬ মিটার। দ্বিতীয়টির অর্থ ‘মানস’, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে যথাক্রমে ১০০ ও ৪৫ মিটার। নরেন্দ্র নারায়ণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে দুর্লভ প্রজাতির গাছপালা এনে বাগানটি ক্রমাগত সমৃদ্ধ করেছেন। এখানে যতবার যাই নানা অচেনা গাছের দেখা পাই।
প্রবেশ পথে ফুলের বরণ।
পথে পায়ের কাছে পরে থাকে কাঠগোলাপের পাপড়ি।
ওখানে আছে দৃষ্টিনন্দন সূর্য্যঘড়ি।
বাগানের একটি ম্যাপ। ম্যাপ দেখার চেয়ে ইচ্ছেমতো ঘুরে দেখতে ভালো লাগে।
একটি গাছের জীবন বিনাশ। কেটে নেওয়া হয়েছে তার সকল শাখা-প্রশাখা।
জীবন্ত গাছে আয়ু শেষ। এবার ক্ষয়ে যায় মিশে যাবে মাটিতে।