চলুন রমনায় ফুলের রাজ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪১ PM

শীতকালীন ফুলগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গাঁদা, ডালিয়া, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, সূর্যমূখী, কসমস, পপি, গাজানিয়া, স্যালভিয়া, ডায়ান্থাস, ক্যালেন্ডুলা, পিটুনিয়া, ডেইজি, ভারবেনা, হেলিক্রিসাম, অ্যান্টিরিনাম, ন্যাস্টারশিয়াম, লুপিন, কারনেশন, প্যানজি এবং অ্যাস্টার ইত্যাদি। কিছু ফুলের আবার বিভিন্ন ধরনের জাতও দেখা যায়।

বর্তমানে রমনা পার্কে শোভা পাচ্ছে বেশকিছু ফুল চলুন কথা জেনে নিই আর ছবি দেখি:

ফুল-(5)

এই হলো কসমস
কসমস ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Cosmos bipinnatus । কসমস বা মেক্সিকান এষ্টারের রঙ এবং ধরণ ভেদে নামের ভিন্নতা জন্যে সব মিলিয়ে প্রায় ২০ প্রজাতির কসমস পাওয়া যায়। যেমন Cosmos sulphureus হলো আমাদের পরিচিত উজ্জ্বল কমলা-হলুদ কসমস। Cosmos bipinnatus হলো সাদা এবং গোলাপি কসমস।

ফুল-(4)

সালভিয়া

শীত মৌসুমের মনমাতানো ফুল। গাছ দুই ইঞ্চি থেকে দুই ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। জোড়ায় জোড়ায় লম্বা বোঁটার মাথায় পাতা হৃদয়াকৃতি। পাতার কিনারায় মিহি নকশা করা। এর লম্বা পুষ্পমঞ্জরি গাছের চেয়েও বড় হয়। পাতাহীন পুষ্পমঞ্জরি ফুলকলিতে ভরা থাকে। নিচের দিক থেকে ফুল ফুটতে ফুটতে ওপরের দিকে যায়। মজার বিষয় হলো সালভিয়ার ফুল, কলি, মঞ্জরি সবই একই রঙের। দেখে মনে হয় একটি ফুলের তোড়া।
সাধারণত টকটকে লাল সালভিয়াই দেখা যায় বেশি। খয়েরি, ভায়েলোট, ঘি-সাদা ফুলের দেখা কদাচিৎ মেলে।

 

ফুল-(2)

গাঁদা ফুল

শীতকাল মানেই রং-বেরঙের গাঁদা ফুলের বাহার। এই ফুল দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই এর উপকারিতাও অনেক। বিশেষ করে ত্বকের যত্নে গাঁদা ফুল যে কত উপকারী জানলে চমকে উঠবেন।

গাঁদা ফুলকে ক্যালেন্ডুলাও বলে। এতে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে। এমনকি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও ব্যবহৃত হয় গাঁদার রস।


গাঁদার পাপড়ি বিশেষ উপায়ে শুকিয়ে তৈরি করা হয় এক ধরনের তেল। যা স্কিনে লাগালে শুষ্ক ত্বকে প্রাণ ফেরে। এই তেল ত্বকে বলিরেখা আসতে দেয় না। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় ব্রণ হওয়ার সমস্যারও সমাধান হয়।

ফুল-(3)

সূর্যমুখী

সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলেই কি এ ফুলের নাম সূর্যমুখী? সূর্য যেদিকে যায়, ঘাড় ঘুরিয়ে সেদিকেই মুখ করে সূর্যমুখী। সত্যিই রহস্যটি অনেক জটিল। তবে যা-ই হোক, দৃষ্টিনন্দন এ ফুল যেন সবাইকে তার কাছে টানে। এজন্যই তো সূর্যমুখী বাগান দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। আপনিও রমনায় গিয়ে দেখে নিতে পারেন সূর্যমুখীর সৌন্দর্য

রূপে-গুণে অনন্য এ ফুল শুধু সুন্দরই নয়, এর আছে অনেক গুণাগুণ। সূর্যমুখীর বীজ থেকে তেল হয়। যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তেলের উৎস হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হয়। সূর্যমুখী যেখানেই ফুটুক না কেন, সেখানকার সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
সূর্যমুখী তেলের উপাদান সম্পর্কে তিনি বলেন, সূর্যমুখী তেল মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে উপকারী ওমেগা ৯ ও ওমেগা ৬, আছে ফলিক অ্যাসিড এবং শতকরা ১০০ শতাংশ উপকারী ফ্যাট। রয়েছে ভিটামিন-ই, ভিটামিন কে মিনারেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান। আর এ তেল সম্পূর্ণ ক্ষতিকারক-কোলেস্টেরলমুক্ত।