বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা পুনর্ব্যক্ত কয়েতের

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৫ AM

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েত বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অভিবাসী কল্যাণের ওপর জোর দিয়ে কূটনৈতিক, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

আজ রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় নিযুক্ত কুয়েতের নতুন রাষ্ট্রদূত আলী তুনিয়ান আব্দুল ওহাব হামাদাহ ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠককালে তারা এসব প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কুয়েত ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের বন্ধু। এখানে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে এবং হালাল খাদ্য অন্বেষণের জন্য একটি দুর্দান্ত ক্ষেত্র হতে পারে। হালাল খাবারের বৈশ্বিক বাজার বিশাল। আমি আপনাকে এই উদ্যোগে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য উৎসাহিত করছি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অংশীদারিত্ব পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সহযোগিতার ওপর নির্মিত। আমরা বাণিজ্য, জ্বালানি এবং এর বাইরেও সহযোগিতা সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রধান উপদেষ্টা কুয়েতি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) এবং ৭-৯ এপ্রিল ঢাকায় আসন্ন বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনে সুযোগ অন্বেষণের জন্য আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, শীর্ষ সম্মেলনে কুয়েত থেকে বিনিয়োগকারীদের আনুন। এটি উভয় দেশের জন্য একটি বড় সুযোগ হবে।

রাষ্ট্রদূত হামাদাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ আবদুল্লাহ আল-আহমদ আল-সাবাহ এবং কুয়েতের জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করেছেন। তিনি বলেন, আমরা একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।

উভয়পক্ষ বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে কুয়েত থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা কুয়েতকে বাংলাদেশে যৌথ উদ্যোগে অপরিশোধিত তেল শোধনাগারে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশটিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে সহযোগিতা অন্বেষণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা কুয়েতে বাংলাদেশি কর্মীদের, বিশেষ করে মহিলা কর্মীদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশি সামরিক কর্মীদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেছেন।