বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদের পুনর্বিবেচনা সভায় স্থগিতকৃত পুরস্কৃত লেখকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই তথ্য জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি সই করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
আগের ঘোষণা অনুযায়ী, ২৩ জানুয়ারি 'বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪' ঘোষণা করা হয়েছিল, তবে ২৫ জানুয়ারি তা স্থগিত করা হয়। এরপর তিনজন বাদ পড়েছেন— মোহাম্মদ হাননান, ফারুক নওয়াজ এবং সেলিম মোরশেদ। মোহাম্মদ হাননানকে মুক্তিযুদ্ধ এবং ফারুক নওয়াজকে শিশুসাহিত্যে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল, আর সেলিম মোরশেদ কথাসাহিত্যিক হিসেবে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। তবে, সেলিম মোরশেদ ২৭ জানুয়ারি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন।
চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ এ পুরস্কৃতরা হলেন:
ক. কবিতা: মাসুদ খান
খ. নাটক ও নাট্যসাহিত্য: শুভাশিস সিনহা
গ. প্রবন্ধ/গদ্য: সলিমুল্লাহ খান
ঘ. অনুবাদ: জি এইচ হাবীব
ঙ. গবেষণা: মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া
চ. বিজ্ঞান: রেজাউর রহমান
ছ. ফোকলোর: সৈয়দ জামিল আহমেদ
উল্লেখ্য, ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার নীতিমালা’-এর চতুর্থ অধ্যায়ের নবম ধারা অনুযায়ী, নির্বাহী পরিষদ নতুন কাউকে পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করতে পারে না, এবং দশম ধারা অনুযায়ী, সুপারিশকৃত কোনো নাম বিবেচনা না করার ক্ষমতা বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদের রয়েছে।
এর আগে, বাংলা একাডেমির পুরস্কারের জন্য গঠিত বোর্ডের সদস্য মোরশেদ শফিউল হাসান ঘোষণা দেন যে, তিনি পুরস্কার ঘোষণা স্থগিত এবং পুনর্বিবেচনা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন না। তিনি পদত্যাগের বিষয়ে বলেননি, তবে পুনর্বিবেচনা প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত না করার কথা জানান।
এছাড়া, ২৯ জানুয়ারি, বাংলা একাডেমির নির্বাহী কমিটির সদস্য কবি সাজ্জাদ শরিফ পদত্যাগ করেন। তিনি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে বলেন, প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিস্থিতি এবং অমর্যাদার কারণে দায়িত্ব পালন করা তার পক্ষে নৈতিকভাবে সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, ২৬ জানুয়ারি সচিবালয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম জানিয়েছিলেন, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুরস্কারের তালিকা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।