প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানের পদত্যাগ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ PM

রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মধ্যে একটি হলো- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এই কমিশনের প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেছেন সিভিল সার্ভিসের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা। সংস্কারের বদলে প্রশাসনের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগানো হলো বলে দাবি তাদের। তারা বলেন, প্রশাসন নিয়ে ছেলেখেলা করা উচিৎ না। এর ফলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে ফেলা হয়েছে বলেও মন্তব্য তাদের। রিপোর্ট প্রকাশের আগেই আংশিক সম্পর্কে মন্তব্য করে আন্ত:ক্যাডার দ্বন্দ্ব তৈরিকে ষড়যন্ত্র অংশ হিসেবে বিবেচনা করছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

প্রশাসনে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পরীক্ষা প্রবর্তন, কোটা কমিয়ে পঞ্চাশ ভাগ করার বিষয়েগুলো এসেছে জনপ্রশাসন সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিশনের আলোচনায়। এনিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে আমলাদের মধ্যে।

আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ১১টার দিকে বিয়াম অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন এর প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এখানে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, গত তিন নির্বাচনের জন্য একতরফা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দায়ী করার সুযোগ নেই।

কর্মর্কর্তারা বলছেন, পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোটা কমানো চলবে না। বরং শতভাগ প্রশাসন থেকে পদোন্নতির দাবি তাদের।

এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যেহেতু আপনি এই কাজ করেছেন, এইখানে থাকার অধিকার আপনি হারিয়ে ফেলেছেন। আশা করি অবিলম্বে এই সংস্কার কমিশন থেকে পদত্যাগ করবেন।’

আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাসঙ্গিক কর্মকর্তারা তাদের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও তারা উপসচিব হবে না। মেধার ভিত্তিতে এগিয়ে থেকে তারা উপসচিব হবে না। যারা এই পদের সঙ্গে প্রাসঙ্গিকতা কম তাদেরকে আমাদের উপসচিব বানাতে হবে, এটাই কি রাষ্ট্রের কল্যাণ?’   

সংস্কার কমিশনের পুরো রিপোর্ট প্রকাশের আগেই নানা সিদ্ধান্ত সামনে আনাকে ষড়যন্ত্র বলেছেন কর্মকর্তারা। তাদের দাবি এর ফলে আন্ত:ক্যাডার দ্বন্দ্ব তৈরি করো হয়েছে।

এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘২৫ শতাংশ কোটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, আজকে পূর্ব থেকে চাপিয়ে দেওয়া বৈষম্যকে বহুলাংশে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য চক্রান্ত চলছে।’ 

প্রশাসন ক্যাডারের কনিষ্ঠ ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন সাবেক কর্মকর্তারা। তারা বলেন, কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনতে হবে কমিশনকে।