সরকারি কর্মচারীরা সম্পদের হিসাব না দিলে আইনানুগ খবর আছে: জনপ্রশাসন সচিব
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেছেন, সব সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব দিতে একটি সহজ ফরম তৈরি, জমা দেওয়ার সময় ও পদ্ধতি নির্ধারণে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্পদের হিসাব জমা না দিলে কি হবে সেটা আমরা অবশ্যই বলে দেবো, দণ্ডটা কী হবে, তার বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নেগেটিভিটি না বললে পজিটিভি জিনিস আসবে না। জমা না দিলেও যা, তা যদি হয়, তাহলে আমি জমা দেবো কেন? জমা না দিলে খবর আছে, সোজা কথা। আইনানুগ খবর আছে। খবরটা কি সেটা যখন চিঠি (ফরম) দেবো তখন বলে দেবো।
আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিনিয়র সচিব এসব কথা জানান।
মোঃ. মোখলেস উর রহমান বলেন, 'সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। এখন কী পদ্ধতিতে কিভাবে জমা দেবেন সে বিষয়ে আমরা ফরম্যাট রেডি করে দেব। এ ছাড়া ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা এবং ২০১২ সালের শুদ্ধাচার কৌশল যুগোপযোগী করা হচ্ছে। '
তিনি আরও বলেন, আয়কর আইন-২০২৩ অনুযায়ী এসব তথ্য গোপন থাকবে। আবার কোনো কোনো সচিব বলেন, পরিবারের সম্পদের হিসাবও জমা দিতে হবে। তবে প্রত্যেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হিসাব বিবরণী জমা দেবেন। আর এই তথ্য গোপন রাখবে কতৃপক্ষ। এবং তা জনগণের কাছে প্রকাশ করা যাবে না। এর জন্য প্রয়োজনীয় জনবলও নিয়োগ করতে হবে। কারণ যে জনবল আছে তা দিয়ে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর সম্পদের হিসাব যাচাই-বাছাই করা অসম্ভব।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯ কার্যকর করা হয়েছিল ৪৪ বছর আগে। এরপর ২০০২ ও ২০১১ সালে তা সংশোধন করা হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় নির্দেশনাগুলো সংশোধন করা হয়নি। তাই ২০১৪ সালে ফের এর সংশোধন কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ১০ বছরেও সেটি চূড়ান্ত করতে পারেনি আওয়ামী লীগ সরকার।