সেন্ট মার্টিন না দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে: দবি শেখ হাসিনার
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত আছে। বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দেওয়ায় তারা ষড়যন্ত্র করে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আজ রবিবার (১১ আগস্ট) ভারতীয় গণমাধ্যম দ্যা ইকোনোমিক টাইমস (ইটি) তাদের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানায়।
বাংলাদেশ ছাড়ার আগে একটি বিবৃতি দিয়তে চেয়েছিলেন হাসিনা। তা তাকে দিতে দেওয়া হয়নি। মূলত সেই বিবৃতির কথাই তুলে ধরেছেন হাসিনা। সেখানে তিনি দাবি করলেন, আন্দোলনকারী ছাত্রদের তিনি রাজাকার বলে সম্বোধন করেননি। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, তিনি আবার বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।
ভারতের নয়াদিল্লিতে অজ্ঞাতবাসে থেকেই বিবৃতি দিয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেছেন হাসিনা। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশিদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, তাঁরা যেন মৌলবাদের দ্বারা পরিচালিত না হন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি পদত্যাগ করেছি যাতে দেশে আরও মৃত্যুমিছিল না হয়। ছাত্রদের মৃতদেহের ওপর ভর করেই ক্ষমতা দখল করতে চাইছিল বিএনপি। তবে আমি সেটা হতে দিতে পারতাম না। তাই আমি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াই। আমি যদি সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি ছেড়ে দিতাম, তাহলে আজও আমি ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। আমেরিকাকে যদি বঙ্গোপসাগরে ছড়ি ঘোরাতে দিতাম, তাহলে আজও আমি ক্ষমতায় থাকতাম।'
উল্লেখ্য, এর আগেও সংসদে দাঁড়িয়ে হাসিনা আমেরিকার বিরুদ্ধে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, এক শ্বেতাঙ্গ তাঁকে অফার দিয়েছেন যে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যদি নৌঘাঁটি করতে দেওয়া হয়, তাহলে কেউ তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পাপবে না। এদিকে এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিএনপি ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেও অভিযোগ ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে।