শপথ নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৩ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:০১ PM

শপথ নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৩ উপদেষ্টা। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বঙ্গভবনে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এর আগে রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

তিনজন উপদেষ্টা ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। তারা হলেন— ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক), সুপ্রদীপ চাকমা, বিধান রঞ্জন রায়।

শপথ অনুষ্ঠানের শুরুতে কোটা আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বঙ্গভবনে পৌঁছান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

উপদেষ্টা:

১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ৩. ড. আসিফ নজরুল ৪. হাসান আরিফ
৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ৭. শারমিন মুরশিদ ৮. ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) ৯. আদিলুর রহমান খান ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. মো. নাহিদ ইসলাম ১৬. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

এর আগে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ইউনূসকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে এসে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।

তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশ একটা বড় পরিবার। এই পরিবারে আমরা একসঙ্গে চলতে চাই। আমাদের সঙ্গে দ্বিধাদ্বন্দ্ব যা আছে সরিয়ে ফেলতে চাই। যারা বিপথে গেছে তাদের পথে আনতে চাই। যাতে করে একসঙ্গে কাজ করতে পারি। 

জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় থাকবেন। তার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা। ভেতরে আসবাবপত্র নতুনভাবে বসানো হচ্ছে। এই কাজগুলো করছে গণপূর্ত অধিদফতর (পিডব্লিউডি)।

তবে যমুনা ভবনের সামনে এখনো নিরাপত্তা বেষ্টনী বসানো হয়নি। সেনাবাহিনী, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদ যমুনায় ছিলেন।

এর আগে, ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান তাদের দায়িত্বের দিনগুলো রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যুমনাতেই ছিলেন।