এবার সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন ইতোমধ্যেই সহিংস রূপ নিয়েছে। গত দুদিন ধরে রাজধানীসহ সারাদেশে সংঘর্ষ চলছে আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে; অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটতে দেখা যাচ্ছে বিচ্ছিন্নভাবে। দেশব্যাপী সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছে। সবশেষ দেশব্যাপী কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারীরা। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকাসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
তিনি জানান, কমপ্লিট শাটডাউনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকাসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেড় সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংস রূপ নেয় সোমবার। পরদিন মঙ্গলবার আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করে এ সহিংসতা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যান ছয়জন, যার মধ্যে আছেন সাধারণ পথচারীও। আহত হন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের অধিভুক্ত সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হল ও ক্যাম্পাস ত্যাগ না করার ঘোষণা দেন। গতকালও হলগুলোর ভেতরে অবস্থান করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বেশিরভাগ হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের করে দেওয়া হয়।
বুধবার রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শনির আখড়ায় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে তিনি বলেন, উচ্চ আদালত থেকে ছাত্রসমাজ ন্যায়বিচার পাবে এবং তাদের হতাশ হতে হবে না।
এরপর দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচি অনুযায়ী, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে এবং রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো যানবাহন চলবে না বলে জানানো হয়।