সীমান্তের ৮ কিলোমিটার ভূমি সম্পূর্ণ ফাঁকা রাখতে পরামর্শ হাইকোর্টের
প্রায়ই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বিএসএফের অভিযোগ চোরাচালান রোধ ও তাদের ওপর হামলা ঠেকাতে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয়। এবার সীমান্ত রক্ষা ও আন্তঃরাষ্ট্র সীমান্ত অপরাধ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা এবং জাতীয় রাজস্ব আয় ফাঁকি প্রতিরোধ করতে হলে সীমান্ত রেখা থেকে দেশের অভ্যন্তরে ১০ মাইল বিজিবির সম্পত্তি ঘোষণাসহ সংসদকে চার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
শনিবার (১৩ জুলাই) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এক মামলার রায়ে এ পরামর্শ দেওয়া হয়। শনিবার ১১ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
পরামর্শে বলা হয়েছে, সীমান্ত লাইন থেকে ৮ কিলোমিটার ভূমি সম্পূর্ণ ফাঁকা এবং সমান থাকবে। যেন এই ৮ কিলোমিটার প্রতিটি ইঞ্চি ৮ কিলোমিটার দূর থেকে পরিষ্কার দেখা যায়। সীমান্ত রেখা থেকে ৮-১০ কিলোমিটার মধ্যবর্তী স্থান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) যাবতীয় স্থাপনা, প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য সংরক্ষিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পরে এ রায় ও আদেশের অনুলিপি অধস্তন আদালতের সব বিচারককে জাতীয় সংসদের সব সদস্যকে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
১৯৮৭ সালে চোরাচালানবিরোধী অভিযানে যশোর সীমান্তে ভারতীয় শাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় বিজিবির দায়ের করা মামলায় আসামি জাকির হোসেনকে তিন বছরের সাজা থেকে খালাসের রায়ে এ পরামর্শ এসেছে।
রায়ে বলা হয়েছে, ১৯৮৮ সালের ১৩ এপ্রিলের রায় ও দণ্ডাদেশ বাতিল করা হয়। আসামি ও আপিলকারীকে ওই অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি তথা খালাস দেওয়া হয়। আসামি ও তার জামিনদারকে জামিননামার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।