পিতৃত্বকালীন ছুটি কেন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
দেশের সব সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে মাতৃত্বকালীন ছুটি রয়েছে। তবে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়ার জন্য কেন একটি নীতিমালা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। সম্প্রতি ছয় মাসের শিশু নুবাইদ বিন সাদী ও তার মা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তৌফিক সাজওয়ার পার্থ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই সাথে আগামী ৩ মাসের মধ্যে নীতিমালা করার বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, পিতৃত্বকালীন ছুটি নীতিমালা সংবিধানের ৭, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১ এবং ৩২ অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক।
গত ৩ জুলাই করা রিটে কেবিনেট সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মোট ১১ জনকে বিবাদী করা হয়।
রিটে আরও বলা হয়েছে যে, নবজাতকের যত্নে কেবল মায়ের ভূমিকা মুখ্য এই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। বাবার ভূমিকাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্য নেওয়ার সুযোগ সীমিত। এছাড়াও সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার দেশে অনেক বেশি। এই অপারেশনের পর সুস্থ হতে মায়ের সময় লাগে। এই সময় নবজাতক ও মায়ের নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। পিতৃত্বকালীন ছুটির সুযোগ না থাকায়, যারা নতুন বাবা হন তাদের স্ত্রী ও নবজাতকের দেখাশোনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়। প্রতিবেশী দেশ ভারত, ভুটান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের ৭৮টিরও বেশি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে।