বিশ্বায়নের যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগের দরজা বন্ধ রাখা যায় না: প্রধানমন্ত্রী
সম্প্রতি দিল্লি সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার ফলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের ট্রেন যাতায়াত করবে। এটা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভারতকে ট্রানজিট দিলে কী ক্ষতি হবে? ট্রানজিট তো অলরেডি দেওয়া আছে। ত্রিপুরা থেকে বাস ঢাকা হয়ে কলকাতা যাচ্ছে। আমরা রাস্তার ভাড়া পাচ্ছি।
গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসামের রুমালীগড় হয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে পার্বতীপুরে ডিপোতে তেল আসছে। সেটা নাটোর পর্যন্ত আনবো। ক্ষতিটা কী হয়েছে? বরং আমরা তেলটা সস্তায় কিনতে পারছি।
শেখ হাসিনা বলেন, গোটা পৃথিবীটা গ্লোবাল ভিলেজ। এখানে একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, এগুলোর দরজা বন্ধ করে থাকা যায় না। বিশ্বায়নের যুগে আমরা নিজেদের দরজা বন্ধ করে রাখতে পারি না।
এর আগে, জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা বলেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার করা সম্ভব হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
সরকারপ্রধান বলেন, হাইড্রোজেন ও অ্যামেনিয়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহরে লক্ষ্যে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। ওই সেল গ্রহণযোগ্য তথ্যাদি প্রাপ্তির পর একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করবে। পেট্রোবাংলার অধীনে রূপান্তরিত গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডে (আরপিজিসিএল) জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন উৎপাদনে টেকসই ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতির ব্যবস্থা নিচ্ছে।
অপর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সঠিক বিচারের নিশ্চয়তা প্রদান করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
২০০৯ সাল থেকে অধস্তন আদালতে এক হাজার ৪২৯ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধনী, গরিব নির্বিশেষে সবার জন্য সমতার ভিত্তিতে সুবিচার নিশ্চিত করা এবং বিচার ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধন করে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর।
ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার প্রসঙ্গে সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ এখন সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত। এ পর্যন্ত ৫৮টি জেলা এবং ৪৬৪টি উপজেলা সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হয়েছে।