ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সারাদেশে ৭ জনের মৃত্যু
গতকাল রাতেই তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। রবিবার রাত ৮টার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বিভিন্ন জেলায় এখন পর্যন্ত ৭ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (২৭ মে) বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ভোলা জেলায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে বরিশালের রূপাতলীতে দেয়াল চাপায় মারা গেছেন দুজন।
সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার টেক্সটাইল এলাকায় দেয়াল চাপায় মারা যান সাইফুল ইসলাম হৃদয় নামের এক পথচারী। স্থানীয়রা জানান, ঝড়ের সময় ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় একটি দেয়ালের পাশে আশ্রয় নেন হৃদয়। হঠাৎ দেয়ালটি ভেঙে পড়লে চাপা পড়ে মারা যান তিনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস তার মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ভোলায় বসতঘরে চাপা পড়ে মারা যান মনেজা খাতুন নামের এক নারী। তিনি লালমোহন উপজেলার চর উমেদ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদেরের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, রাতে মনেজা খাতুন তার এক নাতিকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে ঝড়ো বাতাসে তার টিনের ঘর ভেঙে চাপা পড়েন তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনেজা। তবে অক্ষত আছেন তার নাতি। এছাড়া, জেলার দৌলতখানে ঘর চাপা পড়ে মাইশা (৪) নামে আর এক শিশুর প্রাণ গেছে।
এছাড়া, রোববার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালি আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকত মোড়ল নামে এক বৃদ্ধ মারা যান। একইদিন বিকেলে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধূলাসর ইউনিয়নের কাউয়ারচর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে প্লাবিত এলাকা থেকে বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে মো. শরীফুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যু হয়।