কেএনএফের ডাকাতি: সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সম্প্রতি পার্বত্য অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, থানায় আক্রমণের ঘটনায় উত্তপ্ত বান্দরবান। এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে বান্দরবানের রুমায় পৌঁছেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১১টার কিছু সময় পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রুমা উপজেলা পরিষদে পৌঁছান। সেখানে তিনি বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখছেন।
মন্ত্রীর সফরসূচি অনুযায়ী, বেলা সাড়ে ১২টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক মিলিত হবেন।
এদিনই বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বান্দরবান থেকে ঢাকার পথে রওনা হবেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে তারাবি নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশেপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে ৮টি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, ২টি এসএমজি, ৪টি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পর থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে রুমা বাজার থেকে উদ্ধার করে র্যাব। এর পরপরই থানচি থানা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনেন স্থানীয়রা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই গোলাগুলি চলে।
স্থানীয়রা বলছেন, থানচি থানার পাশে প্রথম গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরে তা থানচি বাজারের কাছে চলে আসে। এ সময় সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের গুলিবিনিময় হয়। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে তারা প্রায় ৫০০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে।
এর রেশ কাটতে না কাটতেই মধ্যরাতে আলীকদমের ২৬ মাইল ডিম পাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর চেক পোস্টে হামলা হয়।
এদিকে কুকি-চিন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের খুঁজতে ড্রোন দিয়ে নজরদারি করছে বাংলাদেশ পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) যৌথ বাহিনী।