রমজানে অবৈধ মজুতদারদের দিকে নজর রাখতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ মার্চ ২০২৪, ০১:২২ PM

আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষ্যে বাজার পরিস্থিতির দিকে নজর দিতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, রোজায় কেউ যেন পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভোক্তাদের কোনো ধরনের হয়রানির সম্মুখীন যেন না হতে হয় সেজন্য অবৈধ মজুতদারি ও খাদ্যে ভেজাল ঠেকাতে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা প্রয়োগের আহ্বানও জানান তিনি।

আজ রবিবার (৩ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ের শাপলা হলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী এবারের নির্বাচন ৭৫ পরবর্তী সবচেয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চেয়েছিল, তাদের কাছেই নির্বাচন পছন্দ হয়নি। তবে সাধারণ মানুষ ও তরুণ ভোটারদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি ছিল বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময়, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রশাসনকে কৃতিত্বও দেন তিনি।

পৃথিবীর অনেক দেশেই মূল্যস্ফীতি ৪০ ভাগেরও বেশি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি এখনও ১০ ভাগের নিচে আছে। সামনেই রমজান, তাই এ বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য কমাতে পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ভূমিকা রাখতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে যে উন্নয়ন টেকসই হয় না সেটা প্রমাণিত সত্য, এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশের উন্নয়নে কাজ করি বলেই মানুষ সুফল পাচ্ছে। দেশকে ডিজিটাল করেছি তবে স্মার্ট দেশের জন্য দরকার স্মার্ট জনগণ। সেই লক্ষ্যে কাজ করার পাশাপাশি জনগণের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, সিনিয়র সচিব ও অন্য সচিব, সরকারের অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করছেন মন্ত্রিপরিষদের যুগ্ম সচিব আনারকলি মাহবুব ও জিয়াউল হক।

এবার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫৬টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোতে জনসেবা বাড়ানো, জনদুর্ভোগ কমানো, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। তবে, বেশি সংখ্যক প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সংক্রান্ত, ২২টি। গত বছরও একইভাবে ডিসিরা প্রায় আড়াইশ প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, মাঠ প্রশাসনকে উজ্জীবিত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করে। এ বছর ৩ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।