স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু জুডিশিয়ারিতে নারীদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেন: প্রধানমন্ত্রী
গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশে উন্নয়ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকে দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে। এটাই প্রমাণিত সত্য যে ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে উন্নয়ন সম্ভব।
আজ শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘দক্ষিণ এশিয়ার একবিংশ শতাব্দীর সাংবিধানিক আদালত, ভারত-বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার আগে জুডিশিয়ারিতে কোনো নারী অংশগ্রহণ করতে পারতো না। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেন। সুপ্রিম কোর্টে যাতে বিচার প্রার্থীরা ন্যায়বিচার পায়, সেটা নিশ্চিত করেন। কিন্তু ক্ষমতালোভীরা তাকে হত্যা করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টেই বন্দি করে রাখে। ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসি এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করি। কিন্তু উচ্চ আদালতের ক্ষমতা আবার ২০০১ সালে বিএনপি কেড়ে নেয়। এরপর ২০০৯ সালে আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম দেশের মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবো। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এ দেশ থেকে চিরতরে দূর করবো। আমরা সেই কথা রাখতে পেরেছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এখন বিচার ব্যবস্থা অনেক ফাস্ট হয়েছে। মামলা জট কমেছে। মানুষ দ্রুত বিচার পাচ্ছে। ডিজিটাল থেকে বিচার বিভাগকে আমরা স্মার্ট করার চেষ্টা করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই দেশের মানুষ ন্যায়বিচার পাবে, কেউ যেনো পনেরোই আগস্ট স্বজনহারা আমাদের মতো বিচারহীনতায় না ভোগে। সংবিধানে বিচার পাওয়ার অধিকার সবার আছে। ১৫ আগস্ট আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি, তাদের ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। ন্যায়বিচার পেতে আমাকেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে হয়।
সরকারপ্রধান বলেন, ৭৫ -এ আমার ছোট বোন আর আমি বিদেশে ছিলাম। তখন ভারতই আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। যারা গুলি খেয়ে বেঁচে গিয়েছিল, যারা স্বজন হারা ছিল, যাদের জীবন ছিল অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ তারাও কিন্তু ওই ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। কাজেই ৭৫ -এর পরে আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল- সেটা আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কী চেয়েছিলেন? চেয়েছিলেন একটি শোষণমুক্ত সমাজ গঠন করতে। বাঙালি জাতিকে ক্ষুধা-দারিদ্র থেকে মুক্তি দিয়ে একটু উন্নত জীবন দিতে। এই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই তিনি আজীবন সংগ্রাম করেন, জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেন। তারই নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি।