মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে ১ বাংলাদেশি আহত; সীমান্তে আতঙ্ক
মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের তুমব্রু রাইট ক্যাম্পে ভয়াবহ পরিস্থিত বিরাজ করছে। বিদ্রোহী আরকান বাহিনী ও বিদ্রোহী আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন) সশস্ত্র গোষ্ঠী দুদিন হলো ক্যাম্পে থাকা জান্তা সরকারের সেনাদের সঙ্গে লড়ছে। চলছে মুহুর্মুহু গোলাগুলি। যার ফলে আতঙ্কে দিন পার করছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
এরইমধ্যে দেশটির অভ্যন্তর থেকে ছোড়া গুলির শিষা ও রকেট লঞ্চার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে উড়ে এসে পড়ছে। এ সময় ১ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি হলেন স্থানীয় তুমব্রু বাজার পাড়ার প্রবিন্দ্র ধর (৬০)।
আজ রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেল থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছিল। আজ আবার ভোর থেকে লাগাতার গোলাগুলি, মার্টার শেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা।
হামিদুল হক নামের এক প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ঘর সংসার ফেলে কোথাও যাওয়াও যাচ্ছে না। আবার বাড়িতেও নিরাপদ না। ভয়ে-আতঙ্কে পরিবারের ছোটরা কান্না করছে।’
স্থানীয় ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, রাইট ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণ নিতে জান্তা সরকারের সেনাদের লক্ষ্য করে রাতভর মর্টারশেল নিক্ষেপ করেছে বিদ্রোহীরা। ঘিরে ফেলছে রাইট সেনা ক্যাম্পটি। সেনারা পালাচ্ছে বলেও শুনেছি। বাংলাদেশের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি হলেন স্থানীয় তুমব্রু বাজার পাড়ার প্রবিন্দ্র ধর (৬০)।
এ সীমান্তের বাংলাদেশ অংশের অন্তত ছোট-বড় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অঘোষিত বন্ধ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুটি মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠান। তিনটি নুরানি স্তরের প্রতিষ্ঠান।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা জানান, অবস্থার কথা শুনে পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অঘোষিতভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল রাতে একটি মর্টার শেল তুমব্রু কোনারপাড়ার ইলিয়াস হোসেনের বসতঘরের টিনে পড়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। এছাড়া মিয়ানমার থেকে উড়ে আসা এক গুলিতে অটোরিকশার কাঁচ ফেটে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।