প্রধানমন্ত্রীকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানালেন দেশটির সরকার
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এছাড়া সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আমেরিকাসহ বড় বড় দেশ। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভিয়েতনামে সরকারি সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী ফা মিন চিনহ। ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই থান সন এ আমন্ত্রণপত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠানরত তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামের সাইডলাইনে ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই থান সনের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন হাছান মাহমুদ।
এসময়য় ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই থান সন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভিয়েতনামে সরকারি সফরের জন্য সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ফা মিন চিনহের আমন্ত্রণ ড. হাছান মাহমুদের কাছে পৌঁছান। একইসঙ্গে বাংলাদেশ-ভিয়েতনামের ৫০ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে ড. হাছান মাহমুদকেও দ্রুত ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানান ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বেলজিয়ামের পররাষ্ট্র, ইউরোপীয় বিষয় ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী হাদজা লাহবিব বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় অব্যাহত সমর্থনের জন্য বেলজিয়াম সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
পাশাপাশি শুক্রবার চেক রিপাবলিকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যান লিপাভস্কি এবং সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রোমেরসাজেশন নেইবিবিধ সাথে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোত মন্ত্রী চারটি দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য ও বাংলাদেশের উদীয়মান খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান উল্লেখ করে এ বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেন চার দেশের মন্ত্রীরা।