বিশ্ব ইজতেমার কারনে বিমানযাত্রীদের আগেভাগে আসার অনুরোধ
আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জুমার দিনে ভোর থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ফলে গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকেই বিমানবন্দর এলাকা দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে ইজতেমার ময়দানে যেতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ভিড় বেড়েছে, চাপ বেড়েছে সড়কেও। এ অবস্থায় যানজটের আশঙ্কা থেকে বিমানযাত্রীদের আগেভাগে বাসা থেকে বের হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দেশের এয়ারলাইনসগুলো তাদের যাত্রীদের খুদেবার্তা ও ইমেইলের মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার কারণে সড়কে তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। সবাইকে বাসা থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে আগেই রওনা হওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুক্রবার ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমার প্রথম পর্ব। এই পর্বে অংশ নিচ্ছেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা।
এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আবার শুরু হবে ইজতেমা। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব। ওই পর্বে অংশ নেবেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা।
প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরুর দু-দিন আগে বুধবার থেকেই মুসল্লিরা ময়দানে স্থান না পেয়ে ময়দানের আশপাশের বিভিন্ন অলিগলি, ফুটপাত সড়ক ও আশেপাশের খোলা জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন। ইতোমধ্যে মুসল্লির আগমনে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে ইজতেমা ময়দান।
বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পরপরই ইজতেমা ময়দানে জড়ো হওয়া লাখ লাখ মুসল্লি বৃষ্টির বাগড়ায় পড়েন। এতে ভোগান্তি বাড়ে তাদের। বৃহস্পতিবার দিনভর আকাশ মেঘলা থাকলেও সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। কয়েক দফায় সামান্য গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছিল। তবে মাগরিবের নামাজের পর থেকে বৃষ্টি নামা শুরু হয়েছে। এতে বেশ ভোগান্তিতে পড়েন মুসল্লিরা।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইজতেমায় গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের ছয় হাজার সদস্যের পাশাপাশি র্যাব, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ এবং পোশাকে ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
এবারের ইজতেমায় এ পর্যন্ত তিনজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার দুজন ও বৃহস্পতিবার একজন মুসল্লির মৃত্যু হয়। তারা হলেন—ইউনুছ মিয়া (৬০), জামান (৪০) ও আব্দুস সাত্তার (৭০)। এদের মধ্যে ইউনুছ মিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায়, জামানের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এবং আব্দুস সাত্তারের বাড়ি নেত্রকোণা জেলায়। তিনজনই বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।