রিট আবেদন খারিজ, ৭ ডিসেম্বর নির্বাচনে কোন আইনি বাধা নেই
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে নির্বাচন আয়োজনে আর কোন আইনি বাধা রইল না।
আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট খারিজ করে দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ। তিনি গত ২৯ নভেম্বর এ রিট আবেদন করেছিলেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
হাইকোর্টে করা ওই রিটে ইউনূস আলী আকন্দ বলেন, সংবিধানের ১২৩ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আরও পাঁচ মাস সময় ছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে যাচ্ছে।
এছাড়া, অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সময় কম থাকায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়।
বর্তমান সংসদের সদস্য ও রাষ্ট্র থেকে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন এমন বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানা গেছে। যার ফলে, বর্তমান সংসদকে বহাল রেখে আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
রিট আবেদনের বিরোধিতা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী এবং নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
তারা হাইকোর্টকে বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় কোনো আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন হয়নি।
তারা হাইকোর্ট বেঞ্চের কাছে আবেদনকারী ইউনুস আলী আকন্দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানিয়ে বলেন, অগ্রহণযোগ্য রিট দায়ের করে তিনি আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন।
গত ৪ ডিসেম্বর এই রিটের শুনানিকালে আবেদনকারী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস আলী আকন্দ আদালতকে বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর ২০১৮ সালে রাতের আঁধারে ভোট হয়েছে। 'দেশের ১৮ কোটি মানুষ এসব ঘটনার সাক্ষী,' বলেন তিনি।
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম তখন আবেদনকারীকে বলেন, '২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'রাতের ভোটের অভিযোগ প্রমাণে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ১৮ কোটি সাক্ষী হাজির করেন। যেদিন ১৮ কোটি সাক্ষীকে হাজির করতে পারবেন, সেদিন পর্যন্ত আমরা আপনার রিট আবেদন স্থগিত রাখব।'
৩ ডিসেম্বর একই রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছেন, নির্বাচন আল্লাহর হুকুমে হচ্ছে, কারণ সবকিছু তার হুকুমেই হয়।