হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর গভীর শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১৫ AM

উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বরেণ্য এই রাজনীতিবিদ ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে মৃত্যুবরণ করেন। হাইকোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে তাকে সমাধিস্থ করা হয়। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ আমাদের সবসময় সাহস ও প্রেরণা জোগায়। জাতি এই মহান নেতার অবদান সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এ উপমহাদেশের মেহনতি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষকে সোচ্চার ও সংগঠিত করেছিলেন। একজন প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে তার দক্ষ পরিচালনায় গণমানুষের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আরও বিকশিত হয়।

তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দীর সুযোগ্য উত্তরসূরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব পাকিস্তান সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দীর্ঘ ২৪ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একজন উদার ও প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ। সাধারণ মানুষের প্রতি তার ছিল অকৃত্রিম মমত্ববোধ। তিনি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিকাশ এবং এ অঞ্চলের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সারাজীবন কাজ করেছেন। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।