কাফন পরে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা, পুলিশের বাধা
পাঁচ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্দেশে যাত্রাকালে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন চাকরি প্রত্যাশীরা। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য চত্বর থেকে কাফনের কাপড় পরে পদযাত্রা শুরু হয়। শাহবাগ পৌঁছানোর পর পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। 'চাকরি প্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ' ব্যানারে এ পদযাত্রা শুরু হয়।
এর আগে সোমবারও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যাত্রাকালে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন চাকরি প্রত্যাশীরা।
এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সভাপতি রুবেল হোসেন বলেন, ‘সরকার বারবার সময় নিচ্ছে, কিন্তু কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। আমরা যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছি। এবার বাস্তব পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
আন্দোলনকারীরা জানান, গত ২৯ অক্টোবর প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক নাজমুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেন। সে সময় তাঁরা তাঁদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন। ওই সময়সীমা সোমবার বেলা দুইটায় শেষ হয়। দাবি বাস্তবায়নের অগ্রগতি না থাকায় তাঁরা আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন।
১৯ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন তাঁরা। কিন্তু প্রতিবারই পুলিশ শাহবাগে ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দিয়েছে। আজও একই চিত্র দেখা যায়। পুলিশের বাধায় আজও তাদের যাত্রা থেমে যায়।
এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘আমরা চাকরি চাই, ভিক্ষা নয়’—এমন স্লোগান দিতে থাকেন। শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সৃষ্টি হয় যানজটের। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারিকেড বসায়। আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন, ২৬ অক্টোবর তাঁদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও কিছু বহিরাগত ব্যক্তি হামলা চালান। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। তাঁরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান।
চাকরি প্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের পাঁচ দফা দাবি হলো-
১। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
২। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরির জন্য পৃথক কোটার সুব্যবস্থা করতে হবে।
৪। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার উপযোগী পরিবেশ ও পিপিডব্লিউডি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৫। কর্মসংস্থানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।