আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের দিক নির্ধারণ হবে: সিইসি
বাংলাদেশ এখন এক সংকটময় পথে দাঁড়িয়ে আছে এবং দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে আগামী জাতীয় নির্বাচন—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা কোন দিকে যাব, গণতন্ত্রের পথে কীভাবে এগোব সবকিছুই নির্ভর করছে এই নির্বাচনের ওপর।’
আজ সোমবার ঢাকার ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) মাঠে আনসার–ভিডিপির ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের চতুর্থ ধাপের মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিইসি।
দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘এটা শুধু দায়িত্ব নয়, আমি এটাকে মিশন হিসেবে নিয়েছি। সংকটময় এই সময়ে আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কেমন বাংলাদেশ রেখে যাচ্ছি, সেটা ভাবতে হবে।’
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বড় ভূমিকা থাকবে বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘সংখ্যার দিক থেকে এটাই সবচেয়ে বড় প্রশিক্ষিত বাহিনী। ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল শক্তি আনসার সদস্যরাই থাকবেন।’
নির্বাচন ঘিরে ৭৪টি কেন্দ্রে আনসার বাহিনী এবং ১৩০টি কেন্দ্রে পুলিশের প্রশিক্ষণ চলছে বলেও জানান তিনি।
ভোটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা–কর্মচারীরা যাতে নিজেরাও ভোট দিতে পারেন—এ ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘১৬ নভেম্বর আমরা একটি অ্যাপ চালু করব। নিবন্ধন করলে ভোটারদের বাড়ির ঠিকানায় ব্যালট পৌঁছে যাবে। যারা অন্য এলাকায় ডিউটিতে থাকবেন, তারাও ভোট দিতে পারবেন। জেলে থাকা নাগরিক ও প্রবাসীরাও ভোট দিতে পারবেন।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব রোধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘কোনো কিছু শেয়ার করার আগে সত্যতা যাচাই করতে হবে। নির্বাচন কমিশনে একটি সেল খোলা হয়েছে, প্রয়োজনে সেখানে যাচাই করা যাবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণকারী উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে কেন্দ্র ভরলেও যদি রাজনৈতিক দলগুলো প্রত্যাশিত সহায়তা না করে, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
জাতিকে ‘প্রত্যাশিত সুন্দর নির্বাচন’ উপহার দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, এবারের নির্বাচনে ৫ লাখ ৪৫ হাজার আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ডিসেম্বর পর্যন্ত আনসার সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণ চলবে।