জানা গেল শহিদুল আলমের সর্বশেষ অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১৭ AM

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজামুখী আন্তর্জাতিক ত্রাণবহর থেকে আটক ১৫০ জন অধিকারকর্মীকে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম।

ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার (৮ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক জলসীমায় গাজার উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছানোর আগেই ৯টি ত্রাণবাহী জাহাজ আটক করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। এরপর যাত্রীদের সবাইকে আটক করে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।

তেলআবিবের দাবি, আটক ব্যক্তিরা সুস্থ আছেন এবং দ্রুত তাঁদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

এই বহরে ‘কনশানস’ নামের একটি জাহাজে ছিলেন শহিদুল আলম। ফ্লোটিলা আয়োজকদের দাবি অনুযায়ী, ওই জাহাজ বহরে অন্তত দুইজন ইসরায়েলি নাগরিকও ছিলেন।

বুধবার ভোরে গাজার উপকূল থেকে প্রায় ১৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর বিশেষ কমান্ডো ইউনিট শায়েতেত ১৩ হেলিকপ্টার থেকে রশি বেয়ে জাহাজে নামার মাধ্যমে অভিযান চালায়। দ্রুততার সঙ্গে ৯টি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা।

আয়োজক সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (FFC) দাবি করেছে, জাহাজে ইসরায়েলি হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালানো হয়েছে এবং আটটি ছোট নৌযান অবৈধভাবে আটক ও জব্দ করা হয়েছে। তারা আরও জানায়, আটক ব্যক্তিদের অনেককেই অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জাহাজগুলোতে ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের ওষুধ, রেসপিরেটরি সরঞ্জাম ও পুষ্টি সহায়তা, যা গাজার হাসপাতালগুলোর জন্য পাঠানো হচ্ছিল। গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে এটি ছিল একটি শান্তিপূর্ণ ত্রাণ সহায়তা উদ্যোগ।

ইসরায়েলের এই আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তুরস্ক। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে ‘সমুদ্র ডাকাতি’ এবং আন্তর্জাতিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

তুরস্ক জানায়, ফ্লোটিলায় তুর্কি সংসদ সদস্যসহ দেশটির নাগরিকরাও ছিলেন। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন,“গত দুই বছরে ইসরায়েল এমন গণহত্যা চালিয়েছে, যা হিটলারেরকেও ছাড়িয়ে গেছে।”