জুলাই সনদ নিয়ে যা জানা গেল

গত ৩১ জুলাইয়ে 'জুলাই সনদ' বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হওয়ায় বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। জুলাই সনদ নিয়ে এখনও চলছে আলোচনা।
এদিকে সনদ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা চারটি পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ২৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, বিশেষজ্ঞরা অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট ও বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হয়েছে। কমিশন কোনো অবস্থাতেই এক মাস সময় নিয়ে এই আলোচনা অব্যাহত রাখতে উৎসাহী নয়। আমরা মনে করি না যে আগামী এক মাস ধরে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা করতে হবে। আমরা খুব দ্রুত একটা ঐকমত্যের জায়গায় উপনীত হতে পারব।
ঐকমত্য কমিশনের এই সহসভাপতি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে চায় কমিশন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে যাবেন এবং ২ অক্টোবর তিনি দেশে ফিরে আসবেন।
আশাবাদ ব্যক্ত করে আলী রীয়াজ বলেন, গণভোট ও সাংবিধানিক আদেশ এই দুটো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ভিন্নমত ছিল তা কাটিয়ে উঠে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে দ্রুতই আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব।
এর আগে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করে সরকার। এতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সহসভাপতি করা হয়।
কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন— জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করা এ কমিশনের মেয়াদ ঠিক করা হয় ছয় মাস, ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। পরে গত ১২ আগস্ট কমিশনের মেয়াদ আরেক মাস বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর করা হয়। সেই মেয়াদ এবার আরও ১ মাস বাড়ানো হলো।