সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর
-1140851.jpg?v=1.1)
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়ানো হয়েছে, যা প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। প্রশিক্ষার্থীদের ভাতা দ্বিগুণ করা হয়েছে, আর প্রশিক্ষকদের ভাতা সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণে যুগ্মসচিব ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তারা এক ঘণ্টা ক্লাস নিলে পাবেন ৩ হাজার ৬০০ টাকা, আর উপসচিব ও তার নিচের পর্যায়ের কর্মকর্তারা পাবেন ৩ হাজার টাকা। এছাড়া প্রশিক্ষণার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার ভাতা ও সম্মানীও বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সই করেছেন অর্থ বিভাগের উপসচিব মর্জিনা আক্তার। এর আগে, ২০১৯ সালে সরকারি চাকুরেদের প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়ানো হয়।
নতুন করে প্রশিক্ষাণ ভাতা বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এবং অধীনস্থ অধিদপ্তর, পরিদপ্তর এবং দপ্তর কর্তৃক আয়োজিত বিষয়ভিক্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য বক্তা সম্মানী ও প্রশিক্ষণ ভাতার হার পুনর্নির্ধারণ করা হলো।
এতদিন প্রতি ঘণ্টার সেশনে তৃতীয় গ্রেড বা যুগ্মসচিব ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মচারীর প্রশিক্ষণ সম্মানী পেতেন ২ হাজার ৫০০ টাকা। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী তারা পাবেন ৩ হাজার ৬০০ টাকা। আর চতুর্থ ও পঞ্চম গ্রেড বা উপসচিব এবং তার নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারীরা পেতেন ২ হাজার টাকা। এখন থেকে তারা পাবেন ৩ হাজার টাকা।
প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণে এতদিন গ্রেড-৯ থেকে তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মচারীরা প্রতিদিন প্রশিক্ষণ ভাতা পেতেন ৬০০ টাকা। নতুনভাবে এটিকে বাড়িয়ে ১ হাজার ২০০ টাকা করা হয়েছে। গ্রেড-১০ থেকে তার নিম্নপর্যায়ের কর্মচারীর প্রতিদিন প্রশিক্ষণ ভাতা ছিল ৫০০ টাকা। সেটিকে এখন বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে।
একইভাবে কোর্স পরিচালকের সম্মানী প্রতিদিনের জন্য ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা, কোর্স সমন্বয়কের সম্মানী প্রতিদিনের জন্য ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং সাপোর্ট স্টাফদের সম্মানী ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে কয়েকটি শর্তের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও দপ্তর কর্তৃক শুধু নিজ নিজ দপ্তরের কর্মচারীদের বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে।
মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীদের জন্য সদর দপ্তর থেকে আয়োজিত প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এ স্মারক প্রযোজ্য হবে না।
প্রশিক্ষণের ব্যাপ্তিকাল দিনব্যাপী না হলে দুপুরের খাবার বাবদ কোনো ব্যয় করা যাবে না।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এ স্মারক প্রযোজ্য হবে না।
গ্রেড বলতে Substantive grade (মূল গ্রেড) বুঝাবে।
আদেশ জারির তারিখ থেকে পুনঃনির্ধারিত হার কার্যকর হবে।