খুশকি দূর করার ঘরোয়া টোটকা
মানুষের চুলের একটি কমন সমস্যা হলো খুশকি। রঙিন কাপড়ের ওপর সাদা সাদা খুশকি পড়ে থাকলে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন অনেকেই।
খুশকি মূলত এক ধরনের মৃত কোষ অথবা মরা চামড়া, যার কারণে ত্বকে ফাঙ্গাস, ব্যাকটেরিয়া প্রভৃতির সংক্রমণ দেখা দেয়। আবার মাথার ত্বকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হলে খুশকির পরিমাণ বেড়ে যায়। একসময় এটি চুল পড়ার কারণও হয়ে উঠতে পারে।
সাধারণত মাথার ত্বকেই খুশকি বেশি দেখা যায়। এর বাইরে চোখের পাতা, ভ্রু ও নাকের দুই পাশেও কারো কারো খুশকি হতে পারে।
শীতে খুশকির প্রবণতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আর মাস দুয়েক পরই আসছে শীত। ঠাণ্ডায় খুশকিমুক্ত থাকতে চাইলে এখন থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
ঘরোয়া আর ভেষজ উপাদানে খুশকি দূর করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক খুশকি দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায়-
লেবুর রস
লেবুর মধ্যে অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ কারণে লেবু খুশকি দূর করতে একটি কার্যকর ঘরোয়া উপাদান। চুলের খুশকি দূর করতে লেবুর রসের সঙ্গে মেশাতে পারেন অ্যালোভেরা, বাদাম তেল, মধু ইত্যাদি। তিন টেবিল চামচ মধুর ভেতর কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে প্রয়োগ করলে খুশকি দূর হয়।
পেঁয়াজের রস
দুটো পেঁয়াজ ভাল করে বেটে এক মগ পানিতে মিশিয়ে মাথায় এই রস ভাল করে লাগিয়ে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দু’বার পেঁয়াজের রস মাথায় মাখলে খুশকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পেতে পারেন।
মেথি
মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে নিয়ে ভাল করে বেটে নিন। ছেঁকে নেওয়া পানি ফেলে দেবেন না। এবার বেটে নেয়া মেথি মাথার ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ঘণ্টা খানেক রেখে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পর মেথি ভেজানো পানি দিয়ে আরও একবার চুল ধুয়ে নিন।
নিম ও নারকেল তেল
১ কাপ নারকেল তেল হালকা গরম করে এতে ১/৪ কাপ নিমের তেল মেশান। খুব আস্তে আস্তে মাথার ত্বকে ও চুলের গোড়ায় এই তেল ম্যাসাজ করুন আর সারারাত রেখে দিন। সকালবেলায় চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। নিম স্বাভাবিকভাবেই খুশকি তাড়াতে বেশ কার্যকর। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই নিম আর নারকেল তেলের থেরাপি করুন।
টি ট্রি অয়েল ও নারকেল তেল
নারকেল তেলের সঙ্গে ৮-১০ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। শ্যাম্পু করার আগে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। শ্যাম্পুর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিলেও উপকার পাবেন।
মনে রাখবেন, খুশকিমুক্ত থাকার মূল শর্ত হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। যারা নিয়মিত বাইরে যান, দীর্ঘসময় বাইক চালান বা ধুলাবালিতে চলাফেরা করেন, তাদের খুশকি হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। আবার যাদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত বা অনেক বেশি ঘাম হয়, তাদেরও মাথার ত্বকে খুশকি হতে পারে।