যানবাহন চলাচলের গতিসীমা বেঁধে দিলো সড়ক বিভাগ
সড়ক ও মহাসড়গুলোতে মোটরসাইকেল, গাড়ি, ট্রাকের সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। দেশে দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনতেই সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের এ পদক্ষেপ। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, এক্সপ্রেসওয়ে ও মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার। নগর-মহানগরে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৪০ কিলোমিটার।
গত ৫ মে (রবিবার) এ নির্দেশিকা জারি করা হয়। আর গতকাল বুধবার (৮ মে) থেকেই এই নীতিমালা কার্যকর করার কথা জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) রোড সেফটি বিভাগের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী। বিআরটিএর সুপারিশেই এই নীতিমালা প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ।
এ বিষয়ে শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, ‘নতুন নীতিমালা অনুযায়ী এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেট কার, বাস, মাইক্রোবাস, জিপের গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার থাকবে, ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের গতি থাকবে ঘণ্টায় যথাক্রমে ৪৫ ও ৫০ করে। আর এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে মোটরসাইকেল। এ ছাড়া সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং জেলা শহরের মধ্যে মোটরসাইকেল ও ট্রাক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। আর অন্যান্য যানবাহনের জন্য এই গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।’
রোড সেফটি বিভাগের পরিচালক আরও জানান, নির্ধারিত গতিসীমা কেউ যদি লঙ্ঘন করে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলছেন, সড়ক ও মহাসড়কে দ্রুতগতির পরিবহনের সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত গতি ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে চায় সড়ক পরিবহন বিভাগ। তবে জরুরি সেবার অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের ক্ষেত্রে গতিসীমা শিথিল থাকবে।
গতিসীমা নির্ধারণের নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, এক্সপ্রেসওয়ে ও মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না।
নতুন নীতিমালায় উপজেলা ও গ্রামের রাস্তার গতিসীমাও নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বাজার ও আবাসিক এলাকার কাছাকাছি গতিসীমা নির্ধারণ করে দেবে। তবে জাতীয় সড়কে ৪০ কিলোমিটার এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটারের বেশি হবে না।