সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে: কমিটির প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৯ PM

দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকেই চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করে চাকরিপ্রত্যাশীরা। তবে তাদের সেই দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ফের চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ ১৪৪ ধারা অমান্য করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের অভিমুখে রওনা দেয় তারা। এতে পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে।

আজ বুধবার (২ অক্টোবর) চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানান তিনি।

আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে অনেক দিন ধরে একটি আন্দোলন চলছে, এটি সমাধানে যৌক্তিক প্রতিবেদন দেওয়ায় আমাদের কমিটির ফোকাস।’

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’

কী যৌক্তিকতা আছে, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোভিড, সেশনজটে অনেকের সমস্যা হয়েছে। এখনকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিত।তবে কতটুকু বাড়ানো দরকার, এটা আমি আজ বলতে পারছি না। আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব কতটুকু বাড়ানো যায়।’

প্রসঙ্গত, চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অনেক দিন ধরে আন্দোলন করছেন। গত সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই দিনই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়।

সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাবেক যুগ্মসচিব কওছার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।