বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে; আবেদন অনলাইনে
নতুন বছরের শুরুতেই চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর! বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলওয়ে দুটি ক্যাটাগরির পদে মোট ৫৫১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
রেলওয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ৫৫১ জনের মধ্যে সহকারী স্টেশন মাস্টার পদে ৪১৭ এবং সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার পদে ১৩৪ জন নেওয়া হবে।
সহকারী স্টেশন মাস্টার পদটি ১৫তম গ্রেডের। এ পদে আবেদনের জন্য স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে থেকে কোনো বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। সব জেলার প্রার্থীরা এ পদে আবেদন করতে পারবেন।
সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার পদটি ১৭তম গ্রেডের। আবেদন করার জন্য বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি বা সমমান পাস হতে হবে। পাবনা, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও কুষ্টিয়া জেলা বাদে সব জেলার প্রার্থীরা এ পদে আবেদন করতে পারবেন।
প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
আবেদন শুরু হবে ১৮ জানুয়ারি এবং শেষ হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি।
প্রার্থীর বয়স ১৮ জানুয়ারি তারিখে অবশ্যই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সরকারি বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।
রেলওয়ের ক্যাডারবহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা অনুসারে, ১৪ থেকে ২০ গ্রেডে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট শূন্যপদের ৪০ শতাংশ পোষ্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বাংলাদেশ রেলওয়েতে স্থায়ী পদে কমপক্ষে ২০ বছর চাকরি করেছেন, এমন কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত, জীবিত বা মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও সন্তান পোষ্য কোটার প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন।
সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। চাকরিরত প্রার্থীদের সকল শর্তপূরণ সাপেক্ষে আবেদনপত্র পূরণের সময় বিভাগীয় প্রার্থীর ঘরে টিক চিহ্ন দিতে হবে। এই শর্ত অন্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তবে সকল চাকরিরত প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার সময় নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনাপত্তি ছাড়পত্রের মূল কপি দেখাতে হবে।
নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান বিধিবিধান ও কোটা পদ্ধতি এবং পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত বিধিবিধানে কোনো সংশোধন হলে তা অনুসরণযোগ্য হবে। মৌখিক পরীক্ষার সময় সকল সনদপত্রের মূল কপিসহ এক সেট সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে এবং পূরণকৃত আবেদন ফরমসহ সত্যায়িত এক সেট ফটোকপি জমা দিতে হবে।
এ ছাড়া জেলার স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণ হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি দেখাতে হবে।