প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দাায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) পরীক্ষার্থীদের পক্ষে এ রিট করেন ফাতেমা আক্তার সাথী।
রিট আবেদনে বলা হয়, গত ৮ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, ডিভাইস জালিয়াতি, প্রক্সি ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তাই এ পরীক্ষা বাতিল বাতিল চাওয়া হয়েছে।
ফাতেমা আক্তার সাথী বলেন, পরীক্ষায় প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন প্রার্থী ছিলেন। অনেক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন—হরতাল, অবরোধ, বৈরি আবহাওয়া ও দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ থাকার কারণে।
এর আগে ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগ তুলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রার্থীদের একটি অংশ। গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৪০ জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার, বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তরপত্রে জালিয়াতিসহ নানা কারণে শুক্রবার পরীক্ষার আগে ও পরীক্ষা চলাকালে তাঁদের আটক করা হয়।
প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে গতকাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্বে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭।