আরব বিশ্বে যেদিন থেকে রোজা শুরু

আগামী ১ মার্চ থেকে আরব বিশ্বে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবুধাবিভিত্তিক আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র। সংস্থাটির পরিচালক মোহাম্মদ শওকত ওদেহ বলেছেন, “আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি আরব বিশ্বের কিছু জায়গায় অর্ধচন্দ্র দেখা যাবে। যদি চাঁদ দেখা যায় ওইদিন সন্ধ্যা থেকে রমজান শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু ওইদিন চাঁদ দেখা না গেলে পরেরদিন ২ মার্চ থেকে শুরু হবে পবিত্র এ মাস।”
আরবি বর্ষপঞ্জির নবম মাস হলো রমজান। এ মাসে আরব আমিরাতসহ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ রোজা রাখেন। আরবি মাসগুলো চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়। এই মাসে মুসল্লিরা ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি দান-খয়রাতের পরিমাণও বাড়িয়ে দেন।
যদি ১ মার্চ রমজান শুরু হয়, তাহলে রমজানের শেষ দিন হবে ২৯ অথবা ৩০ মার্চ।
রমজান প্রতি বছরই এগিয়ে আসে, ফলে এই বছর শুরুর দিকে রোজার সময় কিছুটা কম হবে। তবে মাসের শেষ দিকে রোজার সময় বাড়বে।
এ বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথম রোজাটি ১৪ ঘণ্টা ১৩ মিনিট দীর্ঘ হবে। আর রোজাগুলোর সময় বাড়তে বাড়তে শেষ রোজাটি ১৪ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটে গিয়ে পৌঁছাবে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের জ্যোতির্বিদ্যা বোর্ডের সদস্য এবং রয়্যাল কোর্টের উপদেষ্টা শেখ আব্দুল্লাহ বিন সুলেইমান আল-মানেয়া জানিয়েছিলেন, জ্যোতির্বিদ্যার হিসাব অনুযায়ী, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাবে। ফলে সৌদি আরবে ১ মার্চ থেকে শুরু হবে মহিমান্বিত রমজান মাস।
তিনি আরও জানিয়েছেন, "এ বছরের রমজান মাসটি হবে ২৯ দিনের। সে হিসেবে রমজানের শেষদিন হবে আগামী ২৯ মার্চ। আর ঈদুল ফিতর পালিত হবে ৩০ মার্চ। তবে রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি ঘোষণা দেবে সুপ্রিম কোর্ট।"
রয়্যাল কোর্টের এই সদস্য বলেছেন, "১৪৪৬ হিজরি সনের রমজান মাসের চাঁদটির জন্ম হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত ৩টা ৪৪ মিনিটে। ওইদিন সন্ধ্যায় সুর্যাস্তের ৩২ মিনিট পর্যন্ত চাঁদটি আকাশে অবস্থান করবে। যার অর্থ খুব সহজেই চাঁদটি খালি চোখে দেখা যাবে।"
সূত্র: দ্য ন্যাশনাল