শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনীত হলেন ইলন মাস্ক
বাকস্বাধীনতা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের মন্ত্রী ইলন মাস্ক। নোবেল কমিটি ইতোমধ্যেই এই তথ্য নিশ্চিত করেছে এবং মাস্কের ই-মেইলে একটি বার্তা পাঠিয়েছে।
স্লোভেনিয়ার রাজনীতিবিদ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পার্লামেন্ট সদস্য ব্র্যাঙ্কো গ্রিমস বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। পোস্টে গ্রিমস নোবেল কমিটির ই-মেইলও সংযুক্ত করেছেন।
গ্রিমস তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন, “বাকস্বাধীনতা একটি মৌলিক মানবাধিকার এবং ইলন মাস্ক দীর্ঘ সময় ধরে এই অধিকারের প্রসার এবং সুরক্ষায় কাজ করছেন।” তিনি আরও জানান যে, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মাস্কের পিটিশন নরওয়ের নোবেল কমিটিতে জমা দেওয়া হয়েছিল এবং তারা এটি অনুমোদন করে ২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কারের জন্য মাস্ককে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং মহাকাশ গবেষণা ও অভিযান সংস্থা স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের (পূর্বে টুইটার) মালিকও। ২০২৩ সালে টুইটারের মালিকানা কিনে নিয়েছিলেন তিনি।
পূর্বে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ব্র্যাঙ্কো গ্রিমস ব্রাসেলসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন যে, ‘বাকস্বাধীনতা’ প্রসারে ইলন মাস্কের অবদান উল্লেখযোগ্য এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য তিনি তার প্রস্তাব নোবেল কমিটিতে পাঠাবেন। গ্রিমসের এই মন্তব্যের পরবর্তী মাসেই নরওয়ের নোবেল কমিটি মাস্ককে মনোনয়ন দেয়।
প্রসঙ্গত, নোবেল পুরস্কার প্রতি বছর ছয়টি ক্যাটাগরিতে প্রদান করা হয়: পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য, অর্থনীতি এবং শান্তি। শান্তি পুরস্কার নরওয়ের নোবেল কমিটি প্রদান করে, আর বাকি পাঁচটি ক্যাটাগরির পুরস্কার সুইডেনের সুইডিশ রয়েল একাডেমি প্রদান করে।