শিগগিরই গাজায় ফিলিস্তিনের শাসন ফিরবে; প্রত্যাশা কাতারের
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জাসিম আল থানি শিগগিরই গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় তিনি এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের সীমান্তে আকস্মিক হামলা চালায়, যা গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণের সূচনা করে। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী তীব্র আক্রমণ চালিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে জানা যায়, এই সংঘর্ষে ৪৭ হাজার ৩৫ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও ১ লাখ ১১ হাজার ৯১ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, গাজার শাসন ক্ষমতা কে দখল করবে তা ওই অঞ্চলের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, অন্য কোনো দেশ নয়। তিনি আরো বলেন, গাজায় এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত যা সেখানকার জনগণের প্রকৃত সমস্যা সমাধান করবে এবং গাজাকে পুনর্নির্মাণের জন্য অনেক কিছু করতে হবে।
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য কাতার, মিসর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়, যাতে যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি বন্দিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, এবং মানবিক সহায়তার প্রবাহ বাড়ানোর বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে, গাজা কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সর্বশেষ চুক্তিতে কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
গাজায় হামাসের শাসন ব্যবস্থা ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে, যদিও যুদ্ধের পূর্বে হামাসই গাজার শাসনভার বহন করছিল। গত ১৯ জানুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতারের মধ্যস্থতায়, গাজায় তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।