দুইদিনে সিরিয়ায় ৪৮০ বার বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ AM

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের হামলার মুখে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন গত রবিবার। বিদ্রোহীদের সমর্থনে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোহাম্মদ আল-বশির।

বাশার আল আসাদের পতনের পর থেকেই সিরিয়ায় হামলার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। ৪৮ ঘণ্টায় সিরিয়ায় ৪৮০টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী এই দেশটি। যার মধ্যে সিরীয় নৌবাহিনীর ১৫টি জাহাজে হামলার ঘটনাও রয়েছে। শুধু তাই নয়, সিরিয়ার গোলান মালভূমিও দখল করে নিয়েছে দেশটি।

আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার বলেছে, তারা সিরিয়ায় কৌশলগত সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় ৪৮০টি হামলা চালিয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কয়েকদিন পর ইসরায়েল এই হামলার কথা জানাল।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আইডিএফ (সেনাবাহিনী) সিরিয়ার বেশিরভাগ কৌশলগত অস্ত্রের মজুদগুলোতে আঘাত করেছে এবং সেগুলোকে সন্ত্রাসীদের হাতে পড়া ঠেকাতে বাধা দিয়েছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামলার শিকার লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে সিরিয়ার নৌবাহিনীর ১৫টি নৌযানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি শহরে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট ব্যাটারি এবং অস্ত্র উৎপাদানের স্থাপনাতেও হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

অন্যদিকে সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটির সামরিক সম্পদ নিষ্ক্রিয় করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসরায়েল সিরিয়ার নৌবহরে হামলা চালিয়েছে বলে তারা নিশ্চিত করেছে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তাদের জাহাজগুলো গত সোমবার রাতে আল-বায়দা এবং লাতাকিয়া বন্দরে হামলা করেছে, সেখানে ১৫টি জাহাজ নোঙর করা ছিল।

বিবিসি লাতাকিয়া বন্দরে বিস্ফোরণের বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে দেখেছে এবং এসব ফুটেজে জাহাজ ও বন্দরের কিছু অংশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, “ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ (অন্য দেশের) কৌশলগত সক্ষমতা ধ্বংস করার লক্ষ্যে” কাজ করছে আইডিএফ।

এসময় সিরিয়ার নৌবহর ধ্বংস করার অভিযানকে “বড় ধরনের সাফল্য” বলেও উল্লেখ করেন তিনি।