আসাদের পতনের পর সিরিয়ার গোলান দখল করল ইসরায়েল, সৌদি–কাতার–ইরাকের নিন্দা
সিরিয়ায় দুই যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকা বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পরপরই দেশটির অধিকৃত গোলান মালভূমি দখল করে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব, কাতার ও ইরাক। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিরিয়াতে ইসরায়েলের হামলা দেশটির সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মনে করে দোহা। ইসরায়েলের এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড এ অঞ্চলকে আরও সংঘাতের দিকে নিয়ে যাবে।’
গত রবিবার বিদ্রোহীদের অব্যাহত আক্রমণে মুখে দামেস্ক থেকে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। এরপর পরই ইসরায়েলি ট্যাংক ঢুকে পড়ে সিরিয়ায় এবং গোলান মালভূমির দখল নিতে শুরু করে।
ইসরায়েলের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েল ক্রমাগত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। এর ফলে সিরিয়ার নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনরুদ্ধারের সুযোগকে দূরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ বলেন, গোলান মালভূমি আরবের অধিকৃত অঞ্চল। ইসরায়েল এই ভূমি দখল করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত, ইসরায়েলের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানানো।
এ দিকে ইরাকও ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। বাগদাদ ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সঙ্গে তুলনা করে বলেছে, সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং ইসরায়েলের এ আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।
গত রোববার ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার দখলে থাকা গোলান মালভূমিতে প্রবেশ করে বাফার জোন দখল করে নিয়েছে। এছাড়া ওই এলাকার পাঁচটি গ্রামে বসবাস করা বাসিন্দাদের ঘরে থাককেও সতর্কতা জারি করেছে।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল গোলান মালভূমির একটি অংশ দখল করে এবং এটিকে সংযুক্ত করে। এরপর গত রোববার সিরিয়ার দখলে থাকা অংশটুকুও নিজেদের দখলে নিল ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটিকে সিরিয়ার ভূখণ্ড বেআইনিভাবে দখল করা বলেই মনে করে।