ইসরায়েলের শক্তি খর্ব করার উপায় জানালেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। কোনো আন্তর্জাতিক নিয়মনীতিই তাদের মানুষ হত্যা থেকে বিরত রাখতে পারছে না। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ চায় তুরস্ক। এ লক্ষ্য অর্জনে ইসরায়েলের শক্তি খর্ব করা আবাশ্যক। তাই মধ্যপ্রাচ্যের পরাক্রমশালী ইসরায়েলের লাগাম টানার উপায় জানিয়ে মুসলিম বিশ্বকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) এবং আরব লীগের একটি যৌথ শীর্ষ বৈঠকে তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে ব্যাপারে ধারণা দেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসলামিক দেশগুলোকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথম এবং সর্বাগ্রে ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, তাদের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করা এবং আগ্রাসন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, তুর্কি ইসরায়েলের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। আমরা এমন সব বাস্তবসম্মত প্রস্তাব কার্যকর করতে প্রস্তুত, যা নেতানিয়াহু সরকারকে ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের মূল্য অনুভব করাবে।
এরদোয়ান বলেন, বর্তমান ইসরায়েলি সরকারের অধীনে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের কোনো সুযোগ নেই। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে আমাদের আরও দেশগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায় যোগদানের জন্য যতটা সম্ভব আমাদের মুসলিম দেশগুলোকে উৎসাহিত করা উচিত। গাজায় ইসরায়েল তার কর্মকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যা মামলার মুখোমুখি। এ মামলায় তাদের বিচার নিশ্চিতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও গত বছর হামাসের হামলার পর থেকে তেল আবিব গাজায় ধ্বংসাত্মক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
গাজা উপত্যকা এবং লেবাননে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার সৌদি আরবে আরব-ইসলামী শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্টসহ আরব ও ইসলামিক ৫০টিরও বেশি দেশের নেতা অংশ নিচ্ছেন।