অরুণাচলের ৬০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে চীনা সেনা; যা বলছে ভারত
এর আগে ভারতের গালওয়ান ঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছিলো বলে অভিযোগ ওঠে চীনা সৈন্যদের ওপর। এবার ভারতের সেভেন সিস্টার্সের অন্তর্ভুক্ত অরুণাচল প্রদেশের প্রায় ৬০ কিলোমিটার গভীরে ঢুকে পড়েছে চীনের সশস্ত্র বাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএএল)। দেশটির ভূখণ্ডে ঢুকে অরুণাচল প্রদেশের আনজাও জেলার কাপাপু এলাকায় ক্যাম্পও করেছে তারা।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন ঘুরে তৈরি করা এক প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য জানিয়েছে অরুণাচলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজফাই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের কাপাপু এলাকায় গভীর বনে আগুন ধরানো, পাথরের গায়ে রং ব্যবহার করে লেখা চীনের নাম এবং চীনা খাদ্যসামগ্রীর ছবি দেখে বোঝা যায়, সেখানে প্রায় এক সপ্তাহ আগে চীনের সেনারা ঢুকেছিলেন।
নিউজফাইয়ের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, পাথরের গায়ে ইংরেজিতে ২০২৪ সাল লেখা রয়েছে। ভারতীয় ভূখণ্ডে নিজেদের মালিকানা দাবি করার অংশ হিসেবে অনুপ্রবেশের পর চীনা সেনাবাহিনী এসব কৌশল ব্যবহার করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুই দেশকে বিভক্তকারী ম্যাকমোহন লাইনের হাদিগ্রা পাসের কাছের কাপাপুতে ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশের (আইটিবিপি) একটি ক্যাম্পের অবস্থান রয়েছে। আর আনজাও জেলার নিকটতম প্রশাসনিক এলাকা চাগলাগাম ম্যাকমোহন লাইন থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এছাড়া চাগলাগাম থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে পার্বত্য এলাকায় গ্লাইতাকরু পাসের অবস্থান।
এ বিষয়ে অরুণাচল রাজ্যের নারী ও শিশু উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী দাসাংলু পুল বলেছেন, ‘স্থানীয়দের মতে, চীনা সেনারা কাপাপু জেলায় প্রবেশ করেছিল এবং চলে যাওয়ার আগে কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করেছিল।’
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা অনুপ্রবেশের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘যে এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘটে থাকে। তিনি দাবি করেন, পিএলএ সেনারা ভারতীয় ভূখণ্ডের ৬০ কিলোমিটার ভেতরে অনুপ্রবেশ করেছে এটি মিথ্যা। কারণ এইখানকার সীমানা সঠিকভাবে চিহ্নিত না হওয়ায় এটি ঘটে থাকে।দুই পক্ষের সেনারা টহল দেয়ার সময় একে অন্যের ভূখণ্ডে না বুঝেই ঢুকে পড়ে। তারা কখন যে শত্রুর ভূখণ্ডে রয়েছে তা বুঝতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি বাফার জোনে ঘটে থাকে। এসময় জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।’
এর আগে, ২০২২ সালের আগস্টে, পিএলএ সেনারা হাদিগ্রা হ্রদের কাছে নিজেদের অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম তদারকি করেছিল। সেখানে তিনটি খননকারী যন্ত্র দিয়ে খনন কাজ পরিচালনা করতে দেখা যায় চীনা বাহিনীকে।