উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ; মমতার পদত্যাগের দাবিতে 'বাংলা বন্ধ' কর্মসূচির ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২৭ AM

বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রসমাজের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে রাজ্যজুড়ে আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) ১২ ঘণ্টার ‘বাংলা বন্ধ’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

কর্মসূচি অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই ‘সাধারণ ধর্মঘট’ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বিরোধী দলের ডাকা এ কর্মসূচি রুখে দেওয়ার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলটির নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, এটা বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। কোনো ফাঁদে পা দেবেন না। পশ্চিমবঙ্গের বুকে কোনো বাংলা বন্ধ হবে না। জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে। বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধ ব্যর্থ করুন।

চিকিৎসক হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেয় আন্দোলনকারীরা। এদিন সকাল থেকেই তাই নবান্ন চত্বরে ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। স্লোগান ওঠে, ‘দফা এক, দাবি এক, মমতার পদত্যাগ।’ পরিস্থিতি সামাল দিতে জলকামান চালানো শুরু করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। ছত্রভঙ্গ হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপরই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিজেপি।

পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে আমরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করব। ছাত্রসমাজকে সব রকম আইনি ও মেডিকেল সহায়তা দেব আমরা। আগামী ৩০ আগস্ট আমাদের মহিলা মোর্চার ডাকে সব নারী-পুরুষ পথে নেমে আসুন। এই আন্দোলন বিজেপির নয়, এটা জনতার আন্দোলন।

এরপর এক প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, এটা ছাত্রদের আন্দোলন, না কি সমাজবিরোধীদের আন্দোলন? এরা ছাত্র? সবাই দেখেছে কারা ব্যারিকেড ভাঙতে গেছে। জনতাকে ঠেকাতে যেটুকু করা দরকার, সেটুকুই করেছে পুলিশ; কোনো দমন-পীড়ন চালায়নি। আবার এর পরপরই বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। ওদের মুখোশ খুলে গেছে।