১৪০ কোটি ভারতীয় বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে চিন্তিত: মোদি
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বেশ কিছু জায়গায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে ব্যাপক মিথ্যাচার শুরু করেছে। এর মধ্যে মাশরাফির বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা লিটন দাসের বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে বলে প্রচার, এমনকি খোদ ভারতের পুরাতন এক ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের হিন্দুদের ধর্ষণ করা হচ্ছে বলে প্রচার করা হয়েছে। এছাড়াও এক মাওলানার কোরবানির পশু কাটা ছুরি হাতের ছবি শেয়ার করে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হামলা করা হচ্ছে বলে দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ভারতে।
এবার বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, দেশটিতে থাকা হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ১৪০ কোটি ভারতীয়। ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লির রেড ফোর্ট থেকে দেওয়া ভাষণে মোদি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মোদী বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ভারতের ১৪০ কোটি মানুষ। ভারত সবসময় বাংলাদেশের অগ্রগতির শুভাকাঙ্ক্ষী থাকবে। আমরা আশা করি, শিগগিরই বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ভারতীয়রা চায় সেখানে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।’
গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তাঁর টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তিন দিন বাংলাদেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। তখন ঢাকাসহ সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তথ্যের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ৫২টিতেই সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটে।