অবিলম্বে বাংলাদেশে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের
চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় সারাদেশে অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন। এর ফলে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করে সরকার। এদিকে বাংলাদেশে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। গতকাল রবিবার (০৪ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
তুর্ক বলেন, ‘বাংলাদেশে মর্মান্তিক সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। সপ্তাহের শেষে সংঘর্ষে বহু বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। সিরাজগঞ্জ জেলায় একটি থানায় হামলায় অন্তত ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আগামীকাল (আজ সোমবার) ঢাকায় একটি গণমিছিলের পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং ক্ষমতাসীন দলের যুব শাখা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ডাক দিয়েছে। আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে আরও প্রাণহানি এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হবে। আমি রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে মানুষের জীবনের অধিকার এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় তাঁদের দায়িত্ব পালন করার জন্য জরুরিভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার বলেন, ‘যাঁরা সিনিয়র আছেন এবং যাঁরা কমান্ড দেন তাঁদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনা গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এটা অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে যে, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কোনো দায়মুক্তি দেওয়া যাবে না। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভে যারা অংশ নিচ্ছেন, তাদেরকে টার্গেট করা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে সরকারকে। সেই সঙ্গে যাদেরকে খেয়াল খুশিমতো আটক করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবস্থা পুরোদমে চালু করতে হবে। অর্থপূর্ণ সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।’
তুর্ক আরও বলেন, ‘অতিরিক্ত বল প্রয়োগ, ইচ্ছাকৃত মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া এবং সহিংসতা উস্কে দেওয়াসহ ভিন্নমতকে দমন করার অব্যাহত প্রচেষ্টা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’
কোটার সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই থেকে দেশে সহিংসতা শুরু হয়। সবশেষ গতকাল রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে প্রথম দিনে সহিংসতায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়।