ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে জাপান
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর সম্প্রতি ইউরোপজুড়ে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন বাড়তে শুরু করেছে। সংঘাতের প্রথমদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর অধিকাংশই ইসরাইলকে সমর্থন করলেও ব্যতিক্রম ছিল কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। তাদের মধ্যে স্পেন ও আয়ারল্যান্ড অন্যতম। গাজায় সংঘাতের মধ্যেই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় দেশ দুটি। আরেক পশ্চিমা দেশ নরওয়েও এ স্বীকৃতি ঘোষণা করেছে।
এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া এ বিষয়টি জানিয়েছেন। খবর লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মায়েদিনের।
জাপানের রাজধানী টোকিওতে দেশটির ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইয়োকো কামিকাওয়া বলেন, জাপান মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ‘শান্তি প্রক্রিয়ার’ অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। বৈঠকে আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘাইতি উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তার সরকার ফিলিস্তিনে কয়েক দশকব্যাপী ইসরাইলি দখলের বিপরীতে প্রস্তাবিত ‘দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান’ সমর্থন করে। জাপান একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষা বোঝে এবং এই লক্ষ্য অর্জনে চলমান প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।
ইয়োকো কামিকাওয়া আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিষয়ে আমরা কীভাবে শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়া যায় তা বিবেচনায় নিয়ে এ সমস্যাটি ব্যাপকভাবে মোকাবিলা করতে চাই।’