ইরানে চলছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২৪, ০১:৫০ PM

প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৮ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হয় এ ভোটগ্রহণ; যা চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। প্রেসিডেন্ট পদে চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন- মাসুদ পেজেশকিয়ান, মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি, সাইদ জলিলি এবং মোহাম্মদ বাকের কলিবফ।

ভোটগ্রহণের প্রথম প্রহরেই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন একটি আনন্দের দিন। কারণ, এদিন জনগণ আগামী কয়েক বছরের জন্য তাদের সরকার প্রধানকে নির্বাচন করবেন। ইরানের শক্তিমত্তা ও সম্মান এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে।

তিনি আরও বলেন, আমি আশা করব ইরানি জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবেন। ভোটপ্রদান এমন একটি কাজ যার জন্য কোনো অর্থ খরচ করতে হয় না, কিন্তু এর মাধ্যমে অনেক সুফল পাওয়া যায়। যে কাজে খরচ নেই কিন্তু অনেক সুফল। তাই এর থেকে বিরত থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

বার্তাসংস্থাটি রয়টার্স বলছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন- মাসুদ পেজেশকিয়ান, মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি, সাইদ জলিলি এবং মোহাম্মদ বাকের কলিবফ।

যদি কোনো প্রার্থী শূন্য ভোটসহ প্রদত্ত সমস্ত ব্যালট থেকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে না জিততে পারেন, তবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর প্রথম শুক্রবার শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে ফের রান-অফ রাউন্ডের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রতিদন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের মধ্যে তিনজন কট্টরপন্থি এবং একজন তুলনামূলক মধ্যপন্থি। মধ্যপন্থি ওই প্রার্থীকে সংস্কারবাদী দল সমর্থন করছে।

এর আগে, অভিভাবক পরিষদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী ৮০ জনের রেকর্ড পর্যালোচনা করেন। ছয় জনকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে ইতোমধ্যে দুই প্রার্থী অন্যদের প্রতি সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এরপর দেশটিতে ২৮ জুন আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এতে করে নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, কোনো প্রেসিডেন্ট মারা গেলে নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে নির্বাচন দিতে হবে পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যেই। ফলে দলগুলো নিজেদের প্রার্থীর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার জন্য খুবই কম সময় পায়।