গাজায় শিশুদের ক্ষতি

জাতিসংঘের কালো তালিকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ০৮ জুন ২০২৪, ১১:০০ AM

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নৃশংস ও বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের ভয়াবহ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৭৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৭ হাজারের অধিক শিশু। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা পৃথিবীর আলো-বাতাস, রূপ-গন্ধ ভালো করে পাওয়ার আগেই এসব শিশুরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্ব কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নিলেও এই নির্মমতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে জাতিসংঘ। শিশুদের ক্ষতি করে এমন কালো তালিকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করেছে সংস্থাটি। গতকাল শুক্রবার (০৭ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ আরদান।

‘চিল্ড্রেন ইন আর্মড কনফ্লিক্ট’ নামের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি আগামী ১৮ জুন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। খবর আল জাজিরার।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার শিশু নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশ্ব সংস্থাটি এই সিদ্ধান্ত নিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে গিলাদ জানান, জাতিসংঘের এই পদক্ষেপে তিনি ক্ষুব্ধ।
 
গিলাদ বলেন, ‘এটি একটি লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত। আমাদের সেনাবাহিনী হলো বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিকতাসম্পন্ন বাহিনী। এক ব্যক্তিই কালো তালিকাভুক্ত করেছেন। তিনি হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছেন। তিনি ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণায় পরিচালিত।’

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর ইসরায়েলি সেনাদের ‘লজ্জার তালিকায়’ যোগ করাকে সঠিক পদক্ষেপ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করে ইসরায়েলের কালো তালিকাভুক্তির বিষয়টি জানান।

জাতিসংঘের এই তালিকায় সৌদি আরব, গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো, সিরিয়া ও সোমালিয়ার নাম রয়েছে। এ ছাড়া ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল-শাবাব, তালেবান, আল-কায়েদার মতো সংগঠনও আছে।

গাজার সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকাটিতে ১৫ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে।