ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীদের নিষিদ্ধ করছে মালদ্বীপ
গত প্রায় ৮ মাস ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজাবাসীর ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের নির্মম হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৪৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেনে, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৮২ হাজারের অধিক মানুষ। অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো এই গণহত্যায় ক্ষোভে ফুঁসছে পুরো বিশ্ব। তবে পশ্চিমাদের মদদপুষ্ট ইসরায়েল এসব ক্ষোভকে আমলেই নিচ্ছে না। তবে ইসরায়েলের ওপর বিশ্বব্যাপী চাপ বাড়ছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালানোর জেরে ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীদের নিষিদ্ধ করছে মালদ্বীপ সরকার। এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে ভারত মহাসাগরের ছোট্ট এ মুসলিমপ্রধান দেশে আর কোনো ইসরায়েলি প্রবেশ করতে পারবে না।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র একটি বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু ‘ইসরায়েলি পাসপোর্টের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’। তবে, নতুন আইন কবে থেকে কার্যকর হবে সে সম্পর্কে তেমন কিছু বলেননি তিনি।
প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ পর্যটক মালদ্বীপ ভ্রমণে যান। ‘ফিলিস্তিনের পাশে মালদ্বীপবাসী’ নামে একটি জাতীয় তহবিল সংগ্রহের প্রচারণার ঘোষণাও দিয়েছেন মুইজ্জু। গত বছর প্রায় ১১ হাজার ইসরায়েলি মালদ্বীপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন, যা দেশটির মোট পর্যটকের শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ।
তবে মালদ্বীপের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে মালদ্বীপে যাওয়া ইসরায়েলিদের সংখ্যা ৫২৮ জনে নেমে এসেছে। এ সংখ্যাটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৮ শতাংশ কম।
গত অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধ ঘিরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মালদ্বীপের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। এ ছাড়া দেশে ইসরায়েলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বিরোধী দল ও জোট সরকারের মিত্ররা প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুকে চাপ দিয়ে আসছিল।