মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলে ফের এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি; বিশ্বের ১১তম
কয়েক বছর ধরে ভারতের র্শীর্ষ ধনী ছিলেন মুকেশ আম্বানি। তবে তাকে পেছেন ফেলে এবার এশিয়ার শীর্ষ ধনীর খেতার পুনরুদ্ধার করেছেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার সূচকের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ব্লুমবার্গের সূচকে দেখা গেছে, গতকাল শনিবার (০১ জুন) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গৌতম আদানির মোট সম্পদ ছিল ১১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাঁর নাম এশিয়ার শীর্ষ ধনীর তালিকায় উঠে আসার পাশাপাশি বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ১১তম স্থানে রয়েছে।
অন্যদিকে একই সময়ে ভারতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদের পরিমাণ দেখা গেছে ১০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রতিদিন বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকা প্রকাশ করে থাকে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স সূচক। এই তালিকা প্রতিদিনই হালনাগাদ করে প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত শুক্রবার আদানি গ্রুপের শেয়ারমূল্য আস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে তিনি মুকেশ আম্বানিকে পেছেনে ফেলে এশিয়ার শীর্ষ ধনী হয়ে ওঠেন।
আদানি গ্রুপের ওপর গত শুক্রবার মার্কিন বিনিয়োগ বিষয়ক সংস্থা জেফারিজ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটিতে আদানি গ্রুপের বিভিন্ন ব্যকসায়িক পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পরই মূলত আদানি গ্রুপের শেয়ারমূল্যের হার হু হু করে বাড়তে শুরু থাকে।
গত বছর জানুয়ারিতে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ এক রিপোর্ট প্রকাশ করে আদানিদের সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের একাধিক অভিযোগ আনে। তার মধ্যে ছিল হিসাবে গরমিল করা, আমদানির খরচ বেশি দেখিয়ে নথি তৈরি এবং ঘুরপথে নিজেদের টাকাতেই নিজেদের সংস্থার শেয়ার লেনদেন করে কৃত্রিম ভাবে তার দাম বাড়িয়ে দেওয়া।
হিন্ডেনবার্গের ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন গৌতম আদানি। হু হু করে দরপতন হয়েছিল তাঁর শেয়ারের।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে গৌতম আদানি বলেন, ‘আমরা হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। সামনে আমাদের ভালো দিন অপেক্ষা করছে। আমি আপনাদের আস্বস্ত করতে পারি যে, আদানি গ্রুপ এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী।’