রাফার কেন্দ্রস্থল দখলে নিলো ইসরায়েল; দেখলেই চালাচ্ছে গুলি

কোন কিছুই থামাতে পারছে না দখলদার ইসরায়েলকে। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাফায় অভিযান তীব্র করেছে দখলদার ইসরায়েল। গত রবিবার রাফার এক শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ বোমা হামলা চালায় দেশটি। এতে জ্বলে ওঠে পুরো শরণার্থী শিবির। পুড়ে মারা যায় কয়েকজন নিরীহ ফিলিস্তিনি। এ নৃশংস ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয় ইসরায়েল। দেশটির যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শরণার্থী শিবিরে হামলাকে নিছক ভুল ছিলো বলে দায় এড়িয়ে যায়। পশ্চিমারাও নৃশংস এসব হামলায় শুধু বিবৃতি দিয়েই দায় সারছে। ফলে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনি নারী, শিশু ও বেসামরিক নাগরিক।

এদিকে অভিযান শুরুর প্রায় তিন সপ্তাহ পর গাজার দক্ষিণের শহর রাফার কেন্দ্রস্থলের দখল নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

এতে বলা হয়, রাফার কেন্দ্রস্থল আল-আওদা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক, সরকারি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দখল নিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী। এই শহরটি ফিলিস্তিনি ও মিশর সীমান্ত থেকে আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আল-আওদা শহরে কাউকে চলাচল করতে দেখলেই গুলি চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।   

এদিকে গাজার রাফায় শরণার্থী শিবিরে হামলার পর আন্তর্জাতিক তোপের মুখে পড়েছে ইসরায়েল। এ অবস্থায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কার মুখে প্রথমবার ইসরায়েলি হামলায় ভুল স্বীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজায় এ পর্যন্ত প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ৩৬ হাজার। রাফার হামলা নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক করতে যাচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। 

রাফার নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত তাল আস-সুলতান এলাকার একটি শরণার্থী শিবিরে রোববার বিমান হামলা চালিয়ে শিশুসহ বহু বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল। এতে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছে ইসরায়েল। এই হামলার পর থেকেই ইসরায়েলি সরকারের ওপর গাজায় যুদ্ধবিরতি ও রাফায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে।