গাজায় ইসরায়েলি হামলা জোরদার; ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১২১
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা জোরদার করেছে দখলদার ইসরায়েল। গতকাল গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া পূর্ব গাজার আল-দারাজ এলাকায় একটি বাড়িতে বোমা হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। একই অঞ্চলের একটি স্কুলে বোমা হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এদিকে, শনিবার (১৮ মে) গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১২১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।
আল জাজিরা বলছে, গাজাজুড়ে হামলার মাত্রা আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবার তারা কমপক্ষে ৬৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক ভবনে হামলায় ২৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।
এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রের গেটে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার ঘটনায় ১২ জন নিহত ও আরও ২৫ জন আহত হয়েছেন।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে ফালুজাহতে পানির জন্য লাইনে দাঁড়ানো লোকজনের ওপর ইসরায়েল আর্টিলারি হামলা চালালে আটজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফা শহরের একটি বাড়িতে হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। উত্তর-পশ্চিম রাফাতে একটি গাড়িতে পৃথক হামলায় শনিবার আরও একজন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি হামলা তীব্র করার পর গত এক সপ্তাহে ৯ লাখ ফিলিস্তিনি ফের উদ্বাস্তু অবস্থায় ঘোরাঘুরি করছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৩৮৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৩০০ জনের অধিক ফিলিস্তিনি। এছাড়া ধ্বংসস্তুপের নিচে আর ১০ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনির মরদেহ পচছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: আল জাজিরা