হামলা জোরদার: রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছেন সাড়ে ৫ লাখের অধিক ফিলিস্তিনি
গত ৭ মাসের অধিক সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশির ভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির ছোট্ট একটি শহর রাফা। যেখানে উত্তর ও দক্ষিণ গাজা থেকে পালিয়ে এসেছিলেন ১০ লাখেরও অধিক ফিলিস্তিনি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবরুদ্ধ গাজার লাইফলাইন খ্যাত দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
জাতিসংঘ জানায়, এখন পর্যন্ত রাফার দক্ষিণাঞ্চল থেকে সাড়ে ৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি পালিয়ে গেছে। আর শহরটির উত্তরাঞ্চল থেকে জীবন বাঁচাতে আরও এক লাখ লোক পালিয়েছেন।
ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমা হামলার মুখে রাফায় ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সসহ সেবাদানকারীরা। এতে স্বাস্থ্যসেবা দিতে গাজার ৮০ শতাংশ হাসপাতাল ব্যর্থ হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
গত মঙ্গলবারও গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে হতাহত হন বেশ কয়েকজন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি স্থাপনা। এদিন গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়ায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় নেতানিয়াহু বাহিনী।
এদিকে, অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে খাবার, পানি ও বাসস্থানের মতো জনজীবনের মৌলিক উপাদানের সংকট। নতুন করে দেখা দিয়েছে নগদ অর্থের অভাব। এ অবস্থায় ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গেলো কেটে রাখা হচ্ছে বাড়তি ট্যাক্স। এতে শোচনীয় অবস্থায় দিন পার করছেন নিরীহ বাসিন্দারা।
তারা জানান, বোমা বর্ষণে কারণে ধুলোয় মিশে গেছে গাজার এটিএম বুথগুলো। হাতে গোনা কয়েকটি রয়েছে দক্ষিণের শহর রাফায়। সেখান থেকে টাকা উত্তোলন করতে গেলেও কেটে রাখা হয় বিশাল একটি অংক।
অন্যদিকে, এখনো অচলাবস্থায় রয়েছে হামাস-ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির আলোচনা। এ বিষয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘ইসরাইল অবাস্তব লক্ষ্য নির্ধারণ করছে এতে সংঘাতের সমাপ্তির কোনো উপায় পাওয়া যাচ্ছে না।’
তবুও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে জানায় কাতার।
সূত্র: আল জাজিরা